লেখিকা : শাহরীন উৎসব
সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা চন্দ্রপৃষ্ঠের উপরিভাগে বরফের পানি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন, যেটি নিঃসন্দেহে এক অভূতপূর্ব আবিষ্কার৷ প্রাপ্ত তথ্য থেকে অনুমান করা হচ্ছে, চাঁদে প্রায় 40,000 বর্গকিলোমিটার কিংবা 24,000 মাইল এলাকাজুড়ে পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে সবথেকে বড় প্রশ্নটি হলো, এ পানি পানযোগ্য কিনা।
উত্তর হলো, হ্যাঁ ৷ আমরা এ পানি পান করতে পারব!
আমরা চাঁদের পানি পান করতে পারব৷ কিন্তু পানপূর্বক অবশ্যই সেটি পরিশ্রুত করে নিতে হবে৷
ড. বেন মনটেট
তার মতে পৃথিবীর পানি আর চন্দ্রপৃষ্ঠের পানির মাঝে কোনো তফাৎ নাই৷ চন্দ্রপৃষ্ঠের পানিকে শিলাস্তর থেকে আলাদা করে নিয়ে কোনো সমস্যা ছাড়াই তা পান করা যাবে৷ কিন্তু পরিশ্রুত করার এ প্রক্রিয়াটি বেশ দূরহ হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এই পানির পরিমানটিও বেশ কম৷ যদি আপনার বাড়ির পেছনের বাগানের মাটিতে 20% পানির উপস্থিতি থাকে তাহলে চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রতি ঘন মিটারে পানির পরিমান 0.02% ৷ তাই সে শুষ্ক পানি থেকে পানযোগ্য পানি বের করার প্রক্রিয়াটি যেমন আর্থিকভাবে ব্যয়বহুল ঠিক প্রযুক্তিগত দিক থেকেও কম চ্যালেন্জিং নয়৷ তবুও বিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী৷
চাঁদের মাটিতে পানি এলো কীভাবে?
ধারণা করা হচ্ছে, এর পেছনে দুইটি কারণ থাকতে পারে৷ প্রথমত সৌরঝড় হাইড্রোজেন পরমানুকে চাঁদের মাটিতে নিয়ে এসেছে, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের সামান্য অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে পানি তৈরি করেছে৷ দ্বিতীয়ত, পানি ধারণকারী কোনো মহাকাশীয় বস্তু যা চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল সেটিও এ পানির যোগান দাতা হতে পারে৷
আপাতত আমরা নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারছি না।