লেখক : কে. এম. শরীয়াত উল্লাহ
বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইগুলোর লেখকদের মধ্যে জনপ্রিয় একজন লেখক হচ্ছেন মোহাম্মদ ইসহাক স্যার, আমির হোসেন খান স্যার ও ড. মোঃ নজরুল ইসলাম স্যার। উনি উনাদের বইয়ে একটি শিরোনাম এনেছেন, “পৃথিবীর তাপীয় মৃত্যু” আদতে পৃথিবীর তাপীয় মৃত্যু বলতে কোনো কিছু নেই। এখানে যে বিষয়টি হওয়ার কথা ছিলো তা হলো, “মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু”। তো এই জায়গায় ভুল কোথায় আর এই মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যুই বা কী?
মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু
আমাদের মহাবিশ্বকে একটি বিচ্ছিন্ন সিস্টেম হিসেবে কম্পনা করা হয়। এর মানে আমাদের মহাবিশ্ব থেকে কোনো শক্তি ভিতরে আসে না, আবার কোনো শক্তি বাইরেও যায় না। গাণিতিকভাবে দেখানো সম্ভব, আমাদের এই মহাবিশ্বের এনট্রপি সবসময় শুধু বাড়েই, কখনো কমে না। এভাবে আমাদের মহাবিশ্বের এনট্রপি বাড়তে থাকলে তাপের আদান প্রদান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে সম্পূর্ণ মহাবিশ্বতেই একটা তাপীয় সাম্যবস্থা বিরাজ করবে। অনুরূপভাবে অন্যান্য শক্তির জন্যও এর মধ্যে সাম্যবস্থা বিরাজ করবে। সাম্যবস্থা বিরাজ করলে আসলে কোনো কাজ আদায় করা সম্ভব নয়। কাজ যদি আদায় করা না যায়, তাহলে সেই মহাবিশ্ব মানব জীবনের জন্য কাজে লাগবে না, ফলে তাকে মৃত মহাবিশ্ব বলা হয়। আর এই ঘটনাকে মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু বলে। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু হতে 10^{1000} বছর লাগবে। তবে মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু ঘটবে কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক মতভেদ দেখা যায়, কেননা মহাবিশ্বের অন্তিম পরিণতির তিনটির মধ্যে কেবলমাত্র একটিতেই মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যু ঘটে। বাকিগুলোতে তাপীয় মৃত্যু ঘটে না।
আদতে পৃথিবী কোনো বিচ্ছিন্ন সিস্টেম না। তাই এর এনট্রপি হ্রাস বা বৃদ্ধি উভয়েই হতে পারে। ফলে এর তাপীয় মৃত্যুও সম্ভব না।
[বিঃদ্রঃ উল্লেখিত লেখাটি কাউকে আক্রমণ করে লেখা হয়নি। এর উদ্দেশ্য কেবল মাত্র সঠিক খবর পৌঁছে দেওয়া। এর মাধ্যমে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।]
9 comments on “জগতের তাপীয় মৃত্যু নিয়ে ভুল লেখায় চটেছেন বিজ্ঞানীরা”
Absolutely! It’s a helpful correction for us.
এইটা কোথায় পাইলেন পৃথিবী যে বদ্ধ না?
বদ্ধ সিস্টেম তো তখনই হয় যখন পরিবেশের সাথে শক্তি বিনিময় করতে পারে। পৃথিবী তো পারে। এই জন্য তো আমরা শক্তির বিভিন্ন রুপান্তর করতে পারি।। এইটা তো লিমিটেড ও।
বদ্ধবিচ্ছিন্ন সিস্টেমে শক্তির বিনিময় ঘটে না। আপনি কোন বইতে শক্তির বিনিময়ের কথা পড়েছেন তা একটু দেখান।বদ্ধ সিস্টেমের সংজ্ঞায় তো সেলু(২০১৯) স্যার, ইসহাক(২০১৯) স্যার, তপন(২০১৬) স্যার সেইম ই তো দেওয়া।
সংজ্ঞা: যে সিস্টেম পরিবেশের সাথে শুধু শক্তি বিনিময় করতে পারে কিন্তু ভর বিনিময় করতে পারে না।
তিন বইএ সেইম কথাই লেখা। দেখে নিতে পারেন।
পৃথিবী যে বদ্ধ সিস্টেম না এইটা কোথায় পাইছেন, একটু জানাইলে ভালো হইত। উপকৃত হইতাম, জাযাকাল্লাহ ❤️
Is earth an isolated system লিখে সার্চ দেন। দেখেন লিখা আছে, It is not isolated.
the Earth is almost a closed system (ignoring the relatively small exchange owing to gravity and mass, such as hydrogen escape to space that could have played an important role in the Earth’s past).[১] [2]
Closed system হইলে isolated হবে কিভাবে?
closed sysytem এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ও তো বুঝা যায় যে পৃথিবীর শক্তির আদান প্রদান হয়। শক্তির আদান প্রদান হয় বলেই তো এক সময় তাপীয় মৃত্যু ঘঠবে।
সেলু(মে,২০১৯) বইয়ে (পৃষ্টা:১৭)আছে : “মহাবিশ্বের সিস্টেমে বিশৃঙ্খলা বেড়েই চলেছে। অতএব পৃথিবীর এনট্রপি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনট্রপি বৃদ্ধি পেতে পেতে যখন সর্বোচ্চ মানে পৌছাবে তখন সবকিছুর তাপমাত্রা একই হবে, ফলে তাপশক্তিকে আর যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব হবে না। বিজ্ঞানীরা এ অবস্থাকেই জগতের তাপীয় মৃত্যু বলে অভিহিত হচ্ছে।”
স্যার ও লিখছেন পৃথিবীর এনট্রপি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
the world is a closed system, everything is limited, u can only transform, and during this process u can transform energy, which causes entropy
[১] এই লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন লিখা আছে এইটা। (https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3261436/) Defining the Earth as a thermodynamic system এই শিরোনামের ২য় প্যারায়।। This manuscript resulted from a presentation and subsequent discussions at the Newton Institute in August 2010.
[2] The Earth is a closed system for matter. লিংক : https://course.oeru.org/csf101/learning-pathways/from-the-holocene-to-the-anthropocene/the-earth-is-an-open-and-closed-system/
এটা পুরোপুরি উল্টা কথা বললেন।
হ্যাঁ তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রই হচ্ছে ‘মহাবিশ্বের সিস্টেমে বিশৃঙ্খলা বেড়েই চলেছে।’ কিন্তু তা থেকে পৃথিবীর এনট্রপি বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন সিদ্ধান্তে আসা যায় না। আপনার রেফার করা, https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3261436/ এই আর্টিকেলটাতেই why the Earth system is maintained far from equilibrium without violating the second law of thermodynamics তা বিস্তারিত বর্ননা করা আছে। অন্তত শিরোনামটা দেখতে পারতেন রেফার করার আগে।
আপনি বলেছেন ভর বিনিময় করে না, তাহলে যে উল্কাপাত হয় সেগুলো কী?