ভয়েজার ১ এর কথা জানে না অথচ জ্যোতির্বিজ্ঞান ভালোবাসে এমন মানুষ পাওয়া সম্ভব নয়। ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ কেনাভেরাল থেকে নাসা ভয়েজার ১ নামক স্পেস ক্রাফটটি লঞ্চ করা হয়। ভয়েজার ১ এর লক্ষ্য ছিল বৃহস্পতি, শনি এবং শনির উপগ্রহ টাইটানের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও ছবি সংগ্রহ করা।
প্রাথমিক মিশন শেষ করে ২০১২ সালে ভয়েজার ১ হেলিওস্ফিয়ারের সীমানা ছাড়িয়ে তারামণ্ডলে প্রবেশ করে। হেলিওস্ফিয়ার হলো সূর্য কর্তৃক তৈরী ম্যাগনেটিক ফিল্ড। আগে বিজ্ঞানিরা শুধু হেলিওস্ফিয়ারের মধ্যকার বিভিন্ন তরঙ্গ ইত্যাদি পরিমাপ করেছে যাদের উপর সূর্যের প্রভাব ছিলো।
২০১২ সালের নভেম্বর, হেলিওস্ফিয়ার ছেড়ে যাওয়ার তিন মাস পর ভয়েজার ১ তারামণ্ডলগত একটি ক্ষীণ শব্দ শুনতে পায়। এর ৬ মাস পর আরেকটি বাশিঁর মতো শব্দ শুনতে পায় যেটি ছিল আগের তুলনায় দীর্ঘ ও উচ্চ মাত্রার।
কিন্তু এসব বিচ্ছিন্ন ওয়েভ থেকে দুই তারার মধ্যবর্তী প্লাজমা বা আয়োনাইজড গ্যাসের ঘনত্বের পরিমাপ করা অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্য। তরঙ্গগুলো বিচ্ছিন্ন এবং অনেক সময়ের ব্যবধানে এদের দেখা যায় তাই একটানাভাবে তরঙ্গগুলোর পরিবর্তন লক্ষ করা একপ্রকার বিরল।
কিন্তু সম্প্রতি ভয়েজার ১ তারামণ্ডলে দুই তারার মধ্যবর্তী একটি একটানা ক্ষীণ তরঙ্গ পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছে। যা থেকে বিশেষজ্ঞরা প্রথমবারের মতো তারামণ্ডলগত প্লাজমার ঘনত্ব ও তরঙ্গের পরিবর্তন একটানা পরিমাপ করতে পেরেছেন। এটা খুবি বিরল। এস্ট্রোনমার জেমস করডেস বলেন,
“তরঙ্গের এসব দোলন ( উঠা নামা) অডিও সিগন্যালে রুপান্তর করার পর এটা পরিবর্তনশীল গুনগুন স্বরের মতো শোনাচ্ছে। যা সত্যিই অসাধারণ।”