Skip to content

Tachyon

বাংলায় বিজ্ঞান গবেষণায় প্রথম উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম

সূর্যের নিকটতম প্রতিবেশী আবিষ্কার

সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ হচ্ছে বুধ। তবে এটিই সবচেয়ে কাছের বস্তু নয়। সূর্যের এর থেকেও কাছে রয়েছে একটি গ্রহাণু।

যুক্তরাষ্ট্রের চিলিতে অবস্থিত Cerro Tololo Observatory হতে তোলা হয়। সেই ছবি বিশ্লেষণ করে মার্কিন জ্যোতির্বিদ স্কট শেপার্ড গত ১৩ই আগস্ট একটি গ্রহাণু আবিষ্কার করেন। গ্রহাণুটির অবস্থান সূর্য থেকে ২০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। আর এতে সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ বুধ, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা নিকটতম মহাজাগতিক বস্তুর মর্যাদা হারায়। (সূর্য থেকে বুধের গড় দূরত্ব প্রায় ৩৬ মিলিয়ন কিলোমিটার)। প্রাথমিকভাবে গ্রহাণুটির নাম রাখা হয় 2021 PH27।

সূত্র – কার্নেগি ইনস্টিটউশন ফর সায়েন্স

দূরত্বের দিক থেকে বুধকে পিছনে ফেলে আসলেও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার দিক থেকে আতিরা গ্রুপের (যেসকল গ্রহাণুর কক্ষপথ সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর কক্ষপথের ভিতরে অবস্থিত) অন্তর্ভুক্ত 2021 PH27 গ্রহাণুটি এখনো পিছিয়ে আছে। মাত্র এক কিলোমিটার ব্যাসের গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে ৩২ ডিগ্রি কোণ উৎপন্নকারী একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রতি ১১৩ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে (যেখানে বুধ মাত্র ৮৮ দিনে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে)। মজার ব্যাপার হলো, এর কক্ষপথ একই সাথে বুধ এবং শুক্র গ্রহের কক্ষপথকে ছেদ করেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে গ্রহাণুটি কয়েক মিলিয়ন (!) বছরের মধ্যে বুধ অথবা শুক্র গ্রহের সাথে সংঘর্ষে ধ্বংস হয়ে যাবে অথবা এর বর্তমান কক্ষপথ থেকে সরে যাবে। সূর্যের বিশাল মহাকর্ষ ক্ষেত্রের অনেক কাছে অবস্থান করায় গ্রহাণুটির ওপর আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার প্রভাব সৌরজগতের অন্য সকল বস্তুর চেয়ে বেশি।

নিকটতম প্রতিবেশী হওয়ায় আমাদের নক্ষত্ররাজ সূর্য স্বাভাবিকভাবেই গ্রহাণুটিকে অধিক তাপ দিয়ে আপ্যায়ন করছে। এর পৃষ্ঠে তাপমাত্রা প্রায় ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রায় কোন অস্থিতিশীল পদার্থ দিয়ে গ্রহাণুটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করেন এর আবিস্কারক শেপার্ড। এটি পাথর ও লোহার মতো কিছু ধাতু দিয়ে তৈরি বলে তিনি মনে করেন। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রহাণুটি বৃহস্পতি ও মঙ্গল গ্রহের মাঝে অবস্থিত গ্রহাণু বেল্ট থেকে বিচ্যুত হয়ে সূর্যের এতো কাছে চলে এসেছে। আবার সৌরজগতের বাইরে থেকে এর আবির্ভাব ঘটেছে এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। ভবিষ্যতে আরও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হয়তো গ্রহাণুটির উৎপত্তির রহস্য উন্মচিত হবে।

তথ্যসূত্র

উইকিপিডিয়া

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।