লেখক : কে. এম. শরীয়াত উল্লাহ
পরমাণুর কথা নতুন নয়। সেই গ্রীক দার্শনিকের চিন্তা থেকে জন্মেছিল এমন এক কণার কথা যা আর ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এমন কণাকেই তারা নাম দিয়েছিল এটম। বাংলায় আমরা একে জানি পরমানু নামে। তবে আমরা বর্তমানে জানি পরমানু আসলে অবিভাজ্য না। একেও আরো ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যায়। পরমাণুর প্রধান তিনটি ভাগ হচ্ছে এর কেন্দ্রে থাকা প্রোটন ও নিউট্রন। আর কেন্দ্রের চারপাশে ঘুরতে থাকা ইলেকট্রন। তবে এসবই আমরা জানতাম কিছু পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে। গত কয়েকদশক আগেই কেবল ছবিতোলার মাধ্যমে আমরা দেখতে পেরেছি পরমানুকে। এখনো সরাসরি ইলেকট্রন, প্রোটন কিংবা নিউট্রনের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। তবে পরমাণুর সেই ছবিটি ছিল অস্পষ্ট! তবে এবার তোলার হয়েছে বেশ স্পষ্ট একটি ছবি।
কীভাবে তোলা হলো?
কর্নেল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক পরমাণুর এই ছবি তোলার কাজটি করেন। তারা ইলেকট্রনের একটি বিম একটি বস্তুতে ছুড়ে মারেন। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বস্তু হিসেবে praseodymium orthoscandate (\ce{PrScO3}) ক্রিস্টালকে ব্যবহার করেন।সেই ইলেকট্রনের বিম পরমাণুর সাথে ক্রিয়া করে দিক পরিবর্তন করে। ইলেকট্রনের এ পরিবর্তিত দিক ধরার জন্য থাকে একটি ডিটেক্টর। ইলেকট্রনের এই গতিপথ দেখেই বের করা পরমাণুর চিত্র। এই পদ্ধতির নাম ইলেকট্রন টাইকোগ্রাফি। এর সাহায্যে প্রায় ১০০ মিলিয়ন গুণ বড় করে ছবিটি তোলা হয়েছে।
সূত্র : সায়েন্টিফিক আমেরিকান