লেখক: কে. এম. শরীয়াত উল্লাহ
পোস্টের সাথে দেওয়া ছবিতে কেপলারের তিনটি সূত্র দেওয়া আছে। প্রথম সূত্র খুবই সহজ। প্রথম সূত্রমতে, গ্রহরা সূর্যের চারপাশে বৃত্তাকার পথে নয়, বরং উপবৃত্তাকার পথে ঘুরে। উপবৃত্তের ভিতর দুইটি বিশেষ বিন্দু থাকে যাদেরকে বলে উপবৃত্তের ফোকাস। সূর্য এই উপবৃত্তের দুইটি ফোকাসের মধ্যে একটি ফোকাসে অবস্থান করে।
দ্বিতীয় সূত্র সামান্য একটু কঠিন। এটির মতে গ্রহ ও সূর্যের সংযোগ সরলরেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে। আরো সহজ ভাষায় বললে, একটি গ্রহ সূর্যের যত কাছে চলে আসে, তার গতিবেগ ততো বেশি হয়। গ্রহ যত দূরে অবস্থান করে, গতিবেগ ততো কম।
অবশেষে, তৃতীয় সূত্র আমাদের হলে, গ্রহটি সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে যে সময় নেয় (T) তার ও উপবৃত্তের কেন্দ্র থেকে গ্রহের গড় দূরত্ব (a) এর মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি হচ্ছে T^2 সমানুপাতিক a^3। আরো সহজ ভাষায়, সূর্য থেকে যত দূরে একটি গ্রহ অবস্থান করবে, সূর্যকে একবার চক্কর দিয়ে আসতেও তার ততো বেশি সময় লাগবে।
কেপলারের সূত্রগুলো বিজ্ঞানের রূপ পাল্টে দিয়েছিল। এর মাধ্যমেই পদার্থবিজ্ঞানের ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি দারুণ যোগসূত্র গঠন করা হয়।